Description
১. তোকমায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফাইবারের অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার মধ্যে একটি হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক।
২. রোজা রেখে তোকমার শরবত খেলে আমাদের শরীরের তরলের মাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়। আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে তোকমার শরবত।
৩.তোকমায় থাকা ফাইবার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, কোলোরেক্টাল ক্যানসার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৪. ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, সম্ভাব্য অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে তোকমায়। শরীরের ওজন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা উভয়ই কমাতে পারে উপকারী এই বীজ।
৫. ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো যৌগ রয়েছে তোকমায়। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে অস্থির অণু প্রতিহত করতে পারে, যা ফ্রি র্যাডিক্যাল নামে পরিচিত এবং এগুলো কোষের ক্ষতি করে।ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, নিউরোডিজেনারেটিভ ডিজিজ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের কারণ।
৬. তোকমায় ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে এই বীজে থাকা উপকারী উপাদানসমূহ।
৭. আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ কমাতে পারে তোকমা।
৮. তোকমায় ভিটামিন (যেমন ভিটামিন কে), খনিজ পদার্থ (যেমন ক্যালসিয়াম) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৯. তোকমায় মিউকিলেজ থাকে। এটি এক ধরনের জেলের মতো পদার্থ যা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে যায়। এই জেলের মতো টেক্সচার নিয়মিত খেলে হজম ভালো হয়।
১০. তোকমায় থাকা আঁশ অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। এটি তৃষ্ণা কমাতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া আটকাতে সাহায্য করে।
১১. রক্তে শর্করার মাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তোকমা। রক্ত প্রবাহে চিনির নিঃসরণকে ধীর করতে সাহায্য করার পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই বীজ।
১২. তোকমায় থাকা পলিফেনল কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
১৩. ত্বকের অকাল বার্ধক্য আটকাতে পারে তোকমা। তোকমার শরবত নিয়মিত খেলে ত্বক হয় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
১৪. তোকমার শরবত শরীর শীতল করে। এতে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমে।